স্যামসাং সম্পর্কে কিছু অজানা মজাদার তথ্য | Unknown Facts about Samsung Company in Bengali

স্যামসাং সম্পর্কে কিছু অজানা মজাদার তথ্য ~ Unknown Facts about Samsung Company




বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্রময় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার  কোম্পানি স্যামসাং। কনজুমার, ইলেকট্রনিক্স, আর্থিক সেবা, জাহাজ নির্মাণ, চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা সহ স্যামসাং এর অধীনে প্রায় ৮০ টি বহুমুখী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন সরবরাহে স্যামসাং কিভাবে শীর্ষ স্থান অধিকার করে রয়েছে তা আমরা জানবো এই প্রতিবেদনে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক স্যামসাং কোম্পানি সম্পর্কে কিছু অজানা কাহিনী (Unknown Facts about Samsung Company) .

স্যামসাং যাত্রা শুরু করে ১৯৩৮ সালে একটি নুডলস উৎপাদনকারী প্ৰতিষ্ঠান হিসাবে। ১৯৬০ সালে স্যামসাং গ্রুপ ইলেকট্রনিক শিল্পে প্রবেশ করে। স্যামসাং প্রথম পণ্য হলো একটি ব্ল্যাক  হোয়াট টেলিভিশন। ১৯৮৩ সালে স্যামসাং প্রথম কম্পিউটার নির্মাণ করে। ধীরে ধীরে স্যামসাং একটি আন্তর্জাতিক কর্পোরেশন হয়ে উঠতে শুরু করে। ১৯৯২ সালে স্যামসাং বিশ্বের বৃহত্তম মেমরি চিফ প্রস্তুত কারক কোম্পানি হয়ে উঠে। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ মোবাইল ফোনে স্যামসাং এর তৈরি মেমরি চিফ ব্যবহার করা হয়। এমনকি আইফোনেও স্যামসাং এর তৈরি মেমরি চিফ ব্যবহার করা হয়।

১৯৯৫ সালে স্যামসাং প্রথম এলসিডি ডিসপ্লে তৈরি করে। এর মাত্র ১০ বৎসরের মধ্যে স্যামসাং বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো টেলিভিশন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

বহুজাতিক ইলেকট্রনিক এবং তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি স্যামসাং ২০১২ সালে একক বিক্রয় দ্বারা বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি হিসাবে উঠে আসে। দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গ্রুপের্ স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বিশ্বের সবচেয়ে শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। স্যামসাং এর রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ কর্মী। যা অ্যাপেল, মাইক্রোসফট এবং গুগলের সম্মিলিত কর্মীর চেয়েও অনেক বেশি।

বিশ্বব্যাপী স্যামসাং এর নানা ধরণের ব্যবসা ও প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে শীর্ষস্থান  দখলের পূর্ব অভিজ্ঞতায় মূলত স্যামসাং কে স্মার্ট ফোনের বাজারেও শীর্ষে নিয়ে এসেছে। এছাড়াও সারাবিশ্বে স্যামসাং এর রয়েছে উন্নত পরিবহন এবং সরবরাহের ব্যবস্থা।  যার ফলে স্যামসাং তাদের পণ্য খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে দিচ্ছে সারা বিশ্বে।

বিশ্বের স্মার্টফোন বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ ধখন করে রেখেছে মাত্র ১০ টি স্মার্টফোন কোম্পানি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ স্মার্টফোন সরবরাহ করে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে স্যামসাং। স্যামসাং মাত্র ৩ মাসে প্রায় সাড়ে সাত কোটি মোবাইল ফোন সরবরাহ করে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। যা সারা বিশ্বে প্রায় ২২ শতাংশের কাছাকাছি।  অ্যাপেল এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর পরের অবস্থানে আছে হুয়াওয়েই, সাওমি এবং অপ্পো কোম্পানির ফোন গুলি। 

উন্নত বাজার গুলিতে ডিভাইস বিক্রি ধীর গতির কারণে বিশ্ব বাজারে স্মার্টফোনের চাহিদা কমছে। তবে ক্রমবর্ধমান বাজার গুলিতে মাঝারি দামের স্মার্টফোনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সেখানেও স্যামসাং এর রয়েছে আধিপত্য। স্যামসাং কোম্পানি বাজারে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে প্রতিবছর বিজ্ঞাপনে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার কোটি ডলার খরচ করে। 

স্যামসাং প্রচুর পরিমানে যুদ্বের অস্ত্র, ট্যাংক, জেট ইঞ্জিন এরকম আরো অনেক রকমের দ্রব্য তৈরি করে।

স্যামসাং এর আছে বিশাল আকার আয়তনের জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র। যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো পণ্যবাহি জাহাজ নির্মাণ করে স্যামসাং। 

স্যামসাং একাই দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জিডিপি র  ১৭ শতাংশ অর্জন করে। স্যামসাং বিশ্বব্যাপী ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসার পাশাপাশি আরো অনেক ব্যবসা করে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং ব্রুজ খালিফা স্যামসাং কোম্পানি তৈরি করেছে। এছাড়াও মালেশিয়াতে অবস্থিত পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, তাইওয়ানে অবস্থিত তাইপেই ১০১ ইত্যাদি স্যামসাং এর তৈরি।


এই ছিল স্মার্টফোন দুনিয়ার জায়ান্ট কোম্পানি স্যামসাং সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। ধন্যবাদ !!!!

Post a Comment

0 Comments