স্পেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন | Interesting Facts about Spain in Bengali
আজ আমরা দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপের এক সংস্কৃতির এবং নানা ধরণের পর্যটক ভর্তি দেশ স্পেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানবো। যাকে আধিকারিক ভাবে কিংডম অফ স্পেনও বলা হয়। সাধারণত আমরা যখন স্পেন নামটা শুনি সবার প্রথমে ফুটবলের কথাই মনে পরে। কিন্তু স্পেন দেশটির সাথে এমন অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে যার জন্য স্পেন আজ ইউরোপের জনপ্রিয় একটি দেশ। তো জেনে নেওয়া যাক স্পেন সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য।
স্পেনের মোট আয়তন ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৯৯০ বর্গমিটার। আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৫১ তম স্থান অধিকার করেছে। তাছাড়া এই বৃহৎ আয়তনের জন্যই দক্ষিণ ইউরোপের সব থেকে বড়ো এবং পশ্চিম ইউরোপের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড়ো দেশ হিসাবে স্পেনকে গণ্য করা হয়। এই দেশটির নাম যেহেতু স্পেন তাই এই দেশের লোকদের স্প্যানিশ বা স্প্যানিয়ার্ড বলা হয়। এরা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ লোকই রোমান ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী। এই দেশের আধিকারিক বা রাষ্ট্রীয় ভাষা স্পেনিশ হলেও সেখানে আরো কিছু ভাষা প্রচলিত আছে যেমন কাতালান, অক্সিটান ইত্যাদি। তবে মজার ব্যাপার হলো স্পেনে যত সংখ্যক স্প্যানিশ ভাষার লোক থাকে তার থেকে বেশি স্পেনিশ ভাষার লোক যুক্তরাষ্ট্রে এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গুলির মধ্যে বসবাস করে। চীনা ভাষার পাশাপাশি স্পেনিশ ভাষা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রচলিত ভাষা।
স্পেনের কয়েক প্রকার ভাষার প্রচলন থাকার একটি প্রধান কারণ হলো কয়েক শতাব্দী আগে স্পেন দেশটি বেশ কয়েকটা ছোট বড়ো অংশে বিভক্ত ছিল। যেখানে প্রত্যেকটা অংশেই স্পেনের স্বাসকরা স্বাসন করতো। কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলি আলাদা হয়ে যায়। স্পেন ইউরোপ মহাদেশের প্রাচীন শক্তিশালী একটি দেশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেনি স্পেন। কারণ সেই সময় স্পেনের গৃহযুদ্ধে বেশ কয়েকলক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলির তুলনায় স্পেনের মানুষের আয়ু কাল কিছুটা বেশি। বর্তমানে এই দেশের মানুষের আয়ুকাল ৮২ বছর ধরা হয়। মনে করা হয় একটা সময় স্পেনের মানুষের গড় আয়ুকাল ৬০ বছরের উপরে চলে যাবে। স্পেনে দাদু ঠাকুমারা তাদের নাতি নাতনিদের দেখাশোনা করে। কারণ সেখানে বাচ্চাদের দেখাশোনার ব্যবস্থা খুবই কম। আর সেখানকার ছেলে মেয়েরা তাদের বাবা মায়ের নামের শেষ অক্ষরটি নিজেদের নামের সাথে যুক্ত করতে ভালোবাসে।
স্পেন একটি মিশ্র অর্থনৈতিক সম্পন্ন দেশ। যা বর্তমানে বিশ্বের ১৪ তম এবং ইউরোপিয়ান দেশ গুলির মধ্যে ৫ তম সবচেয়ে বড়ো অর্থনীতি সম্পন্ন দেশ। যেখানে নামিদামি সংস্থা থেকে শুরু করে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ গুলির মধ্যে পরে।
তবে ইতালি এবং চীনের পর সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট থাকার জন্য স্পেন বিশ্বের পর্যটকদের কাছে এক জনপ্রিয় স্থল। যেখানে শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৮২ মিলিয়নের বেশি পর্যটক সেখানে বেড়াতে এসেছে। সেখানে অনেক জনপ্রিয় জায়গা রয়েছে। যেমন দেশের রাজধানী মাদ্রিদ এবং আলহাম্বরা এল এস্কোরিয়াল ইত্যাদি দ্বীপ গুলি পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। এছাড়াও দেশের অনেক দূর্গ, শহর, এবং পৌরাণিক চার্জ গুলিও পর্যটকদের বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করে। স্পেনে অবস্থিত রোম শিল্প কার্যের এক দারুন নিদর্শন হিসাবে পরিচিত টাওয়ার অফ হারকুলেস একটি প্রাচীন লাইট হাউস যা এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সমস্ত কিছুর দিকে লক্ষ্য করলে অনায়াসে বলা যেতে পারে যে পর্যন্তন শিল্প স্পেনের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে।
স্পেন পর্যটনের পাশাপাশি ভালো ভালো খাবার এবং পানীয়র জন্যও বিখ্যাত যা পর্যটকদের বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করে। সেখানে আলুর তৈরি অমলেট, পাইলা নামক এক বিশেষ চালের খাবার, বিভিন্ন ধরণের সুপ্, নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছের খাবার খুবই প্রচলিত। তাই পর্যটকদের সেখানে খাবারের কোনো অসুবিধা হয় না। আর এই সমস্ত খাবার এবং সমস্ত আমোদপ্রমোদের ব্যবস্থা সেই দেশের হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট গুলি করে থাকে।
স্পেনের সমস্ত জনপ্রিয় খাবার গুলির পাশাপাশি কিছু বিশ্ব বিখ্যাত উৎসবও রয়েছে যা পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু উৎসব হলো ষাঁড়ের দৌড়, টমেটো ছোড়ার উৎসব ইত্যাদি। এই রকম আরো প্রচলিত উৎসব গুলিকে স্পেনের পর্যটন শিল্পের অংশ বলা যেতে পারে। বর্তমানে এই উৎসব গুলি এতো জনপ্রিয় যে প্রতি বছর লক্ষাধিক পর্যটক স্পেনে বেড়াতে আসে। স্পেনের উৎসব গুলিতে ষাঁড়ের প্রভাব থাকায় স্পেনের জাতীয় পশু হলো ষাঁড়।
আজ আমরা প্যারিসে যে আইফেল টাওয়ারটি দেখি তা আসলে প্রথমে স্পেনের বার্সেলোনাতেই তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য তা আর হয়ে উঠে নি।
সবশেষে আসি স্পেনের ফুটবল নিয়ে। ফুটবলের সাথে স্পেনের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট। অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশ গুলির মতো স্পেনের ফুটবলও সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। স্পেন ২০১০ সালে প্রথম বারের মতো ফিফা বিশ্ব কাপ জয় করে। ন্যাশনাল টিমের পাশাপাশি স্পেনের লীগ ফুটবলও সারা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয়। ইউরোপের প্রথম সারির লীগ গুলির মধ্যে স্পেনের লীগ অর্থাৎ লা লিগা প্রথম দিকেই থাকে। কারণ এই লীগের মধ্যে আছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব যথা ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা এবং রিয়েল মাদ্রিদ।
এই ছিল উৎসব এবং ফুটবলের দেশ স্পেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আজ আমরা দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপের এক সংস্কৃতির এবং নানা ধরণের পর্যটক ভর্তি দেশ স্পেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানবো। যাকে আধিকারিক ভাবে কিংডম অফ স্পেনও বলা হয়। সাধারণত আমরা যখন স্পেন নামটা শুনি সবার প্রথমে ফুটবলের কথাই মনে পরে। কিন্তু স্পেন দেশটির সাথে এমন অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে যার জন্য স্পেন আজ ইউরোপের জনপ্রিয় একটি দেশ। তো জেনে নেওয়া যাক স্পেন সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য।
স্পেনের মোট আয়তন ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৯৯০ বর্গমিটার। আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৫১ তম স্থান অধিকার করেছে। তাছাড়া এই বৃহৎ আয়তনের জন্যই দক্ষিণ ইউরোপের সব থেকে বড়ো এবং পশ্চিম ইউরোপের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড়ো দেশ হিসাবে স্পেনকে গণ্য করা হয়। এই দেশটির নাম যেহেতু স্পেন তাই এই দেশের লোকদের স্প্যানিশ বা স্প্যানিয়ার্ড বলা হয়। এরা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ লোকই রোমান ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী। এই দেশের আধিকারিক বা রাষ্ট্রীয় ভাষা স্পেনিশ হলেও সেখানে আরো কিছু ভাষা প্রচলিত আছে যেমন কাতালান, অক্সিটান ইত্যাদি। তবে মজার ব্যাপার হলো স্পেনে যত সংখ্যক স্প্যানিশ ভাষার লোক থাকে তার থেকে বেশি স্পেনিশ ভাষার লোক যুক্তরাষ্ট্রে এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গুলির মধ্যে বসবাস করে। চীনা ভাষার পাশাপাশি স্পেনিশ ভাষা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রচলিত ভাষা।
স্পেনের কয়েক প্রকার ভাষার প্রচলন থাকার একটি প্রধান কারণ হলো কয়েক শতাব্দী আগে স্পেন দেশটি বেশ কয়েকটা ছোট বড়ো অংশে বিভক্ত ছিল। যেখানে প্রত্যেকটা অংশেই স্পেনের স্বাসকরা স্বাসন করতো। কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলি আলাদা হয়ে যায়। স্পেন ইউরোপ মহাদেশের প্রাচীন শক্তিশালী একটি দেশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেনি স্পেন। কারণ সেই সময় স্পেনের গৃহযুদ্ধে বেশ কয়েকলক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলির তুলনায় স্পেনের মানুষের আয়ু কাল কিছুটা বেশি। বর্তমানে এই দেশের মানুষের আয়ুকাল ৮২ বছর ধরা হয়। মনে করা হয় একটা সময় স্পেনের মানুষের গড় আয়ুকাল ৬০ বছরের উপরে চলে যাবে। স্পেনে দাদু ঠাকুমারা তাদের নাতি নাতনিদের দেখাশোনা করে। কারণ সেখানে বাচ্চাদের দেখাশোনার ব্যবস্থা খুবই কম। আর সেখানকার ছেলে মেয়েরা তাদের বাবা মায়ের নামের শেষ অক্ষরটি নিজেদের নামের সাথে যুক্ত করতে ভালোবাসে।
স্পেন একটি মিশ্র অর্থনৈতিক সম্পন্ন দেশ। যা বর্তমানে বিশ্বের ১৪ তম এবং ইউরোপিয়ান দেশ গুলির মধ্যে ৫ তম সবচেয়ে বড়ো অর্থনীতি সম্পন্ন দেশ। যেখানে নামিদামি সংস্থা থেকে শুরু করে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ গুলির মধ্যে পরে।
তবে ইতালি এবং চীনের পর সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট থাকার জন্য স্পেন বিশ্বের পর্যটকদের কাছে এক জনপ্রিয় স্থল। যেখানে শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৮২ মিলিয়নের বেশি পর্যটক সেখানে বেড়াতে এসেছে। সেখানে অনেক জনপ্রিয় জায়গা রয়েছে। যেমন দেশের রাজধানী মাদ্রিদ এবং আলহাম্বরা এল এস্কোরিয়াল ইত্যাদি দ্বীপ গুলি পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। এছাড়াও দেশের অনেক দূর্গ, শহর, এবং পৌরাণিক চার্জ গুলিও পর্যটকদের বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করে। স্পেনে অবস্থিত রোম শিল্প কার্যের এক দারুন নিদর্শন হিসাবে পরিচিত টাওয়ার অফ হারকুলেস একটি প্রাচীন লাইট হাউস যা এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সমস্ত কিছুর দিকে লক্ষ্য করলে অনায়াসে বলা যেতে পারে যে পর্যন্তন শিল্প স্পেনের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে।
স্পেন পর্যটনের পাশাপাশি ভালো ভালো খাবার এবং পানীয়র জন্যও বিখ্যাত যা পর্যটকদের বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করে। সেখানে আলুর তৈরি অমলেট, পাইলা নামক এক বিশেষ চালের খাবার, বিভিন্ন ধরণের সুপ্, নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছের খাবার খুবই প্রচলিত। তাই পর্যটকদের সেখানে খাবারের কোনো অসুবিধা হয় না। আর এই সমস্ত খাবার এবং সমস্ত আমোদপ্রমোদের ব্যবস্থা সেই দেশের হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট গুলি করে থাকে।
স্পেনের সমস্ত জনপ্রিয় খাবার গুলির পাশাপাশি কিছু বিশ্ব বিখ্যাত উৎসবও রয়েছে যা পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু উৎসব হলো ষাঁড়ের দৌড়, টমেটো ছোড়ার উৎসব ইত্যাদি। এই রকম আরো প্রচলিত উৎসব গুলিকে স্পেনের পর্যটন শিল্পের অংশ বলা যেতে পারে। বর্তমানে এই উৎসব গুলি এতো জনপ্রিয় যে প্রতি বছর লক্ষাধিক পর্যটক স্পেনে বেড়াতে আসে। স্পেনের উৎসব গুলিতে ষাঁড়ের প্রভাব থাকায় স্পেনের জাতীয় পশু হলো ষাঁড়।
আজ আমরা প্যারিসে যে আইফেল টাওয়ারটি দেখি তা আসলে প্রথমে স্পেনের বার্সেলোনাতেই তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য তা আর হয়ে উঠে নি।
সবশেষে আসি স্পেনের ফুটবল নিয়ে। ফুটবলের সাথে স্পেনের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট। অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশ গুলির মতো স্পেনের ফুটবলও সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। স্পেন ২০১০ সালে প্রথম বারের মতো ফিফা বিশ্ব কাপ জয় করে। ন্যাশনাল টিমের পাশাপাশি স্পেনের লীগ ফুটবলও সারা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয়। ইউরোপের প্রথম সারির লীগ গুলির মধ্যে স্পেনের লীগ অর্থাৎ লা লিগা প্রথম দিকেই থাকে। কারণ এই লীগের মধ্যে আছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব যথা ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা এবং রিয়েল মাদ্রিদ।
এই ছিল উৎসব এবং ফুটবলের দেশ স্পেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
0 Comments