How Facebook Earn? ফেসবুক কিভাবে আয় করে জেনে নিন । ফেসবুকের কিছু গোপন তথ্য

ফেসবুক কিভাবে আয় করে? ফেসবুকের আয়ের উৎস কি ? ফেসবুকের ভয়ঙ্কর কিছু গোপন তথ্য - How Facebook Earn?







আজকের দিনে ফেসবুক হলো সবচেয়ে বড়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমানে ফেসবুকে একাউন্ট নেই এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। যেকোনো বয়সের মানুষকেই আজ ফেসবুক করতে দেখা যায়। এই ফেসবুকের ব্যবহার সমাজের যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কতটা উপযোগী তা আমরা সবাই জানি। অপরদিকে এটাও ঠিক যে ফেসবুকের ভালো দিক গুলির পাশাপাশি অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। যুব যুবতীদের বিভ্রান্ত করা, ফেসবুকের আসক্তি এছাড়াও আমাদের কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে এই ফেসবুকের পিছনে অযথা সময় নষ্ট করা এসব আপনারা সবই জানেন। হয়তো আপনারাও এইসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তো চলুন আজ জেনে নি ফেসবুকের কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য এবং ফেসবুকের মূল আয়ের উৎস। 

আজকের দিনে ইন্টারনেটের খরচ এতটাই কমে এসেছে যে এটাকে আমরা ফ্রি ই বলতে পারি। বিশেষ করে সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই এখন বিনামূল্যে আমাদের কাছে চলে এসেছে। যদি আমরা গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখি তাহলে আমরা বুজতে পারি যে  আমাদের সকল সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে আমাদের মূল্যবান কিছু দিতে হচ্ছে। কি দিতে হচ্ছে ? তো চলুন জেনে নি। 

আমরাতো প্রতিনিয়ত ফেসবুকে আমাদের প্রোফাইলে কিছু না কিছু শেয়ার করে থাকি, লাইক করি, মন্তব্য করি সেইসব ফেসবুকে থাকা সকল বন্ধুরাই দেখতে পায়। কিন্তু আমরা ফেসবুক ব্যক্তিগত অনেক ম্যাসেজ কিংবা অনেক ব্যক্তিগত কাজ করে থাকি যা আমরা আসলে গোপন রাখতে চাই। ফেসবুকে আমাদের সকল কাজ, সকল ম্যাসেজ ফেসবুকের সার্ভারে তথ্য হিসাবে থাকে। আমরা প্রতিদিন  যতসব ম্যাসেজ করি, ভিডিও কল করি আরো যতসব ব্যক্তিগত কাজকর্ম করে থাকি তা সব ফেসবুকের কাছে জমা হয়। আপনি যদি আপনার প্রোফাইল থেকে আপনার ব্যক্তিগত কাজ গুলি ডিলিটও করে দেন তবুও ফেসবুকের কাছে তা জমা থাকে। অনেক সময় ই শোনা যায় যে আমরা প্রতিনিয়ত যে সব কাজ ফেসবুকে করে থাকি সেই সব তথ্য গুলি বাছাই করে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছে তা বিক্রি করে দেয়। যার কারণে আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন দেখবেন আপনি যে সব পোস্ট লাইক, মন্তব্য এবং শেয়ার করে থাকেন বাছাই করে সেই সব জিনিস গুলিই আপনি আপনার টাইমলাইনে প্রতিনিয়ত চলে আসছে। তো বুজতেই পারছেন বিজ্ঞাপন দাতারা কেন তারা এতো টাকা খরচ করে এই সব তথ্য গুলি কিনে নেয়। এই সব তথ্যের মাধ্যমেই তারা আপনার রুচি এবং চাহিদা গুলি জেনে নেয় তারপর এডের মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কাস্টমার তারা নিয়ে নেয়।  এটা আসলে ইন্টারনেট অপারেটরের একটি বিশেষ সিস্টেম। যা মোটেও অটোমেটিক নয়। এটার সুবিধা হলো আপনার চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্য আপনার ফোনের টাইমলাইনে দেখতে পাবেন। 








সব কিছু ঠিক আছে কিন্তু আসল সমস্যা হলো অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীরা আছে যারা ম্যাসেজে অনেক গোপন ছবি, ভিডিও কিংবা গোপন তথ্য শেয়ার করেন। এই সমস্ত তথ্য ফেসবুক নিয়ন্ত্রনকারীদের কাছে জমা হয়। যদিও সব তথ্য ফাঁস হয় না কিন্তু বলা তো যায় না কখন কার তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। তো বুজতেই পারছেন যে অ্যাডাল্ট যত সব ওয়েবসাইট আছে সেখানকার বেশিরভাগ ছবি, ভিডিও কিভাবে আসছে? হ্যাঁ! ঠিকই বুজতে পেরেছেন। আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার থাকতেই পারে, আপনার এমন কিছু গোপন তথ্য থাকতেই পারে যেগুলি আপনি আপনার নিজের কিছু  সাথে শেয়ার করতে চান। কিন্তু আপনি এটা নিশ্চয় চান না যে আপনার এই সব গোপন তথ্য গুলি  কারোর কাজে যাক। 

এবার ভিন্ন এবং মজাদার কিছু বলি ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে বিজ্ঞাপন কোম্পানি গুলি আমাদের চাহিদা জানার জন্যে অনেক টাকার বিনিময়ে  ফেসবুকের কাছ থেকে সব তথ্য কিনে নেয় এবং এটার সুফল আমাদেরই উপকারে আসে। আমরা আমাদের চাহিদা খুব সহজেই মিটাতে পারি কিন্তু এই সব তথ্যের মাধ্যমেই কিন্তু অনেকে ভিন্ন কাজ করছে।  সত্যিই অবাক হবেন যে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের আগে এভাবেই  ভোটারদের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলো। যার ফলাফল এখন আপনারা সবাই ই জানেন। 

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে আরো কাছে নেওয়ার জন্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ২০০৪ সালে এই ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু দেখুন আমরা বর্তমানে ফেসবুক এমন ভাবে ব্যবহার করছি যার কারণে আমরা আমাদের কাছের মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি।জীবনের সকল কাছের মানুষদের থেকে দূরে সরে গিয়ে আমরা কাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছি সেটা একটা অনেক বড়ো প্রশ্ন। আর এটা কিন্তু ফেসবুক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কখনোই ছিল না। আবার অন্যদিকে আমরা সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফেসবুকের মাধ্যমেই পেয়ে থাকি। 

এখন কথা হলো ফেসবুকের খারাপ দিক এবং ভালো দিক দুই ই রয়েছে। ব্যাপার হচ্ছে আমরা কোন দিকটাকে ব্যবহার করবো খারাপ দিক না ভালো দিক সেটা আপনাকেই বেছে নিতে হবে। তো ফেসবুক বা ইন্টারনেটের ভুল ব্যবহার না করে প্রত্যেকের সচেতন হওয়াটাই শ্রেয়। 

তো এই ছিল ফেসবুক নিয়ে কিছু তথ্য। প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 


Post a Comment

0 Comments