দুবাই (Dubai) সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য জেনে নিন

দুবাই (Dubai) সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য জেনে নিন - unknown facts about Dubai city 





আজ আমরা এমন একটি দেশের সম্পর্কে মজাদার তথ্য জানবো যেই দেশটিকে সারা বিশ্ববাসী কোটিপতির দেশ হিসাবে চিনে।  সেই দেশের মানুষের জীবনযাত্রা এবং বিলাসিতা সারা বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করেছে।  আর সেই দেশটির নাম হলো কাতার। কাতার মধ্য প্রাচ্যের একটি আরব দেশ। মধ্য প্রাচ্যের সমস্ত আরব দেশ গুলির মধ্যে কাতারই সবচেয়ে ছোট দেশ।  তো জেনে নেওয়া যাক কাতার সম্পর্কে কিছু  অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য। 

১৯৭১ সালের আগে কাতার ইউনাইটেড কিংডমের অংশ ছিল। ১৯৭১ সালে ব্রিটিশ স্বাশন থেকে কাতার স্বাধীনতা অর্জন করে। তারপর থেকেই খুব তাড়াতাড়ি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। কাতারের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড়ো শহর হলো দোহা।  এই দোহাতে একটি কৃতিম আইল্যান্ড বানানো হয়েছে যার নাম ফার্ম কাতার।  কাতারের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা এই দোহাতেই বসবাস করে। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব এবং পশ্চিমে বাহারা অবস্থিত। 

কাতার খুব ধনী দেশ  হওয়ায় সিঙ্গাপুরের পর কাতারে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি লোক বসবাস করে। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে সেখানে প্রায় ১৩ শতাংশ লোক কোটিপতি। আপনি কাতারে বেকার লোক খুঁজেই পাবেন না। কারণ সেখানকার সমস্ত মানুষ কোনো না কোনো কাজের সাথে যুক্ত থাকে। সেখানে বেকারত্বের সংখ্যা ১ শতাংশের থেকেও খুবই কম। কাতারে প্রতি বেক্তির আয় ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৩০ মার্কিন ডলার। 

২০১৭ সাল পর্যন্ত কাতারের মোট জনসংখ্যা ২৬ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৬৯ জন। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে কাতারের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কাতারের বাসিন্দা। আর বাকি ৮৬ শতাংশ লোকই বিদেশী। তারা বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য সেখানে বসবাস করে। পৃথিবীর মধ্যে কাতারই এক মাত্র দেশ যেখানে প্রায় ১৫০ দেশের বেশি লোক বসবাস করে। 

কাতারের রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবি। কিন্তু সেখানে ইংরেজি ভাষাও কিছুটা প্রচলিত আছে।  সেখানে সবচেয়ে বেশি মুসলিম ধর্মের লোক বসবাস করে।  এছাড়াও সেখানে কিছু খ্রিস্টান এবং হিন্দু ধর্মের লোকও বসবাস করে। কাতার ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে শুক্রবার এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি দেওয়া হয়। 

সেখানকার কোনো মানুষের থেকে সরকার কোনো ট্যাক্স নেয় না। তাছাড়া সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা, চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।  কাতারে কোনো গরিব লোক বসবাস করে না। অপেক্ষাকৃত যারা কিছুটা নিম্ন মানের আয় করে তারাও খুব সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করতে পারে। 



কাতারে শিক্ষিতের হার প্রায় ৫৮ শতাংশ। কাতারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ মেয়ে বসবাস করে। কিন্তু মেয়েদের সেই রকম কোনো স্বাধীনতা দেওয়া না। 

কাতার একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে কিছু নিয়ম রয়েছে যা সবাইকে মেনে চলতে হয়। যেমন সেখানে মেয়েদের ছোট ছোট পোশাক পড়া একদমই নিষেধ। তাছাড়া আপনি পাবলিক প্লেসে কখনো মদ্যপান করতে পারবেন না। সেখানে মদ কেনাবেঁচাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সেখানে পর্নোগ্রাফিও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কাতারে দুই ধরণের আইন দেখতে পাওয়া যায়। একটা হলো সাধারণ আইন এবং আরেকটি হলো শরিয়া আইন। শরিয়া আইন খুবই কঠিন। সেখানে যদি কেউ বাজে ধর্মীয় মতবাদ করে  তাহলে তাকে  সাত বছরের জন্য জেলে থাকতে হতে পারে। 

একটা সময় কাতার আরব দেশ গুলির সবচেয়ে গরিব দেশ ছিল।  কিন্তু বর্তমানে কাতার পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ । তারা  প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল খনন এবং মুক্তা নিষ্কাশন থেকে আয় করে। 
কাতারের শুষ্ক জমি এবং প্রতিকূল অবস্থার জন্য সেখানে কৃষিকাজ খুবই কম পরিমানে হয়। আর সেখানে প্রচুর পরিমান খাবার বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সেখানে প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় মধু খাওয়ার রীতি রয়েছে। সেখানকার লোকজনের প্রিয় খাবার হলো মধু এবং খেজুর। 

কাতার তৈল খনির দেশ হওয়ায় সেখানে পেট্রোল জলের দরে পাওয়া যায়। হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কাতারের বিখ্যাত বিমান বন্দর। এই এয়ারপোর্টটি ২০১৪ সালে নির্মিত করা হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এই বিমান বন্দর দিয়ে  যাতায়াত করে। 

তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, প্রাচ্য নিদর্শন এবং  কোটিপতি লোকদের জীবনযাপন দেখার জন্য সেখানে প্রতি বছর অনেক পর্যটক কাতারে দেয়। 

সবশেষে, কাতার পৃথিবীর প্রথম সবচেয়ে ছোট দেশ যে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। হাঁ! ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্টিত হতে চলেছে।  কাতারের সবচেয়ে প্রিয় খেলা হলো ফুটবল। যেই কারণে কাতারের সাথে ফুটবলের সম্পর্ক অন্যরকম।

















আজ আমরা এমন একটি দেশের সম্পর্কে মজাদার তথ্য জানবো যেই দেশটিকে সারা বিশ্ববাসী কোটিপতির দেশ হিসাবে চিনে।  সেই দেশের মানুষের জীবনযাত্রা এবং বিলাসিতা সারা বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করেছে।  আর সেই দেশটির নাম হলো কাতার। কাতার মধ্য প্রাচ্যের একটি আরব দেশ। মধ্য প্রাচ্যের সমস্ত আরব দেশ গুলির মধ্যে কাতারই সবচেয়ে ছোট দেশ।  তো জেনে নেওয়া যাক কাতার সম্পর্কে কিছু  অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য। 

১৯৭১ সালের আগে কাতার ইউনাইটেড কিংডমের অংশ ছিল। ১৯৭১ সালে ব্রিটিশ স্বাশন থেকে কাতার স্বাধীনতা অর্জন করে। তারপর থেকেই খুব তাড়াতাড়ি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। কাতারের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড়ো শহর হলো দোহা।  এই দোহাতে একটি কৃতিম আইল্যান্ড বানানো হয়েছে যার নাম ফার্ম কাতার।  কাতারের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা এই দোহাতেই বসবাস করে। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব এবং পশ্চিমে বাহারা অবস্থিত। 

কাতার খুব ধনী দেশ  হওয়ায় সিঙ্গাপুরের পর কাতারে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি লোক বসবাস করে। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে সেখানে প্রায় ১৩ শতাংশ লোক কোটিপতি। আপনি কাতারে বেকার লোক খুঁজেই পাবেন না। কারণ সেখানকার সমস্ত মানুষ কোনো না কোনো কাজের সাথে যুক্ত থাকে। সেখানে বেকারত্বের সংখ্যা ১ শতাংশের থেকেও খুবই কম। কাতারে প্রতি বেক্তির আয় ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৩০ মার্কিন ডলার। 

২০১৭ সাল পর্যন্ত কাতারের মোট জনসংখ্যা ২৬ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৬৯ জন। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে কাতারের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কাতারের বাসিন্দা। আর বাকি ৮৬ শতাংশ লোকই বিদেশী। তারা বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য সেখানে বসবাস করে। পৃথিবীর মধ্যে কাতারই এক মাত্র দেশ যেখানে প্রায় ১৫০ দেশের বেশি লোক বসবাস করে। 

কাতারের রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবি। কিন্তু সেখানে ইংরেজি ভাষাও কিছুটা প্রচলিত আছে।  সেখানে সবচেয়ে বেশি মুসলিম ধর্মের লোক বসবাস করে।  এছাড়াও সেখানে কিছু খ্রিস্টান এবং হিন্দু ধর্মের লোকও বসবাস করে। কাতার ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে শুক্রবার এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি দেওয়া হয়। 

সেখানকার কোনো মানুষের থেকে সরকার কোনো ট্যাক্স নেয় না। তাছাড়া সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা, চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।  কাতারে কোনো গরিব লোক বসবাস করে না। অপেক্ষাকৃত যারা কিছুটা নিম্ন মানের আয় করে তারাও খুব সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করতে পারে। 



কাতারে শিক্ষিতের হার প্রায় ৫৮ শতাংশ। কাতারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ মেয়ে বসবাস করে। কিন্তু মেয়েদের সেই রকম কোনো স্বাধীনতা দেওয়া না। 

কাতার একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে কিছু নিয়ম রয়েছে যা সবাইকে মেনে চলতে হয়। যেমন সেখানে মেয়েদের ছোট ছোট পোশাক পড়া একদমই নিষেধ। তাছাড়া আপনি পাবলিক প্লেসে কখনো মদ্যপান করতে পারবেন না। সেখানে মদ কেনাবেঁচাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সেখানে পর্নোগ্রাফিও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কাতারে দুই ধরণের আইন দেখতে পাওয়া যায়। একটা হলো সাধারণ আইন এবং আরেকটি হলো শরিয়া আইন। শরিয়া আইন খুবই কঠিন। সেখানে যদি কেউ বাজে ধর্মীয় মতবাদ করে  তাহলে তাকে  সাত বছরের জন্য জেলে থাকতে হতে পারে। 

একটা সময় কাতার আরব দেশ গুলির সবচেয়ে গরিব দেশ ছিল।  কিন্তু বর্তমানে কাতার পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ । তারা  প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল খনন এবং মুক্তা নিষ্কাশন থেকে আয় করে। 
কাতারের শুষ্ক জমি এবং প্রতিকূল অবস্থার জন্য সেখানে কৃষিকাজ খুবই কম পরিমানে হয়। আর সেখানে প্রচুর পরিমান খাবার বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সেখানে প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় মধু খাওয়ার রীতি রয়েছে। সেখানকার লোকজনের প্রিয় খাবার হলো মধু এবং খেজুর। 

কাতার তৈল খনির দেশ হওয়ায় সেখানে পেট্রোল জলের দরে পাওয়া যায়। হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কাতারের বিখ্যাত বিমান বন্দর। এই এয়ারপোর্টটি ২০১৪ সালে নির্মিত করা হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এই বিমান বন্দর দিয়ে  যাতায়াত করে। 

তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, প্রাচ্য নিদর্শন এবং  কোটিপতি লোকদের জীবনযাপন দেখার জন্য সেখানে প্রতি বছর অনেক পর্যটক কাতারে দেয়। আজ আমরা এমন একটি শহর সম্পর্কে জানবো যেই শহরটি আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। বিভিন্ন জায়গায় আমরা এই শহরটির নাম শুনে থাকি। কখনো কখনো এই শহরটিকে আমরা বিভিন্ন মুভিতেও দেখে থাকি। পৃথিবীর ধনী শহর গুলির নাম বললেই যেই শহরের নাম আমাদের প্রথম মনে পরে , সেই শহরটির নাম হলো দুবাই। তো চলুন জেনে নিই দুবাই কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শহর গুলির মধ্যে একটি। 


সারা বিশ্বে দুবাই শহরটি পরিচিতি লাভ করেছে উঁচু উঁচু বিল্ডিং, নামী দামী গাড়ি, বাড়ি এবং তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপনের জন্য। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই মনে করেন যে দুবাই একটি দেশ। কিন্তু দুবাই কোনো দেশ না। সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি দেশ, যা মধ্য প্রাচ্য / দক্ষিণপশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত, দুবাই হলো সেই দেশের সবচেয়ে বড়ো এবং সবচেয়ে জনবহুল শহর।

বর্তমানে সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিংটি হলো ব্রুজ খলিফা। যেটি দুবাইতে অবস্থিত। যা দুবাইয়ের ৯০ কিলোমিটার দূর থেকেও দৃশমান। দুবাইতে অবস্থিত পৃথিবীর তৃতীয় সবচেয়ে উঁচু হোটেল ব্রুজ আল আরব। এই হোটেল মধ্যে একটা সোনার চাদর রয়েছে যেটাকে বাইরে থেকে দেখলে মন ভোরে যায়।  কিন্তু আপনি ইটা জেনে অবাক হবেন যে, ১৯৭০ সালে ওই জায়গায় ছিল মরুভুমি।  মাত্র কয়েক বৎসরে সেই মরুভুমি হয়ে উঠলো পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর একটি শহর। 

আমরা জানি যে এটিএম মেশিন দিয়ে টাকা তোলা হয় কিন্তু আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে দুবাইয়ে এটিএম মেশিন দিয়ে সোনাও বের হয়। একটি জার্মান সংস্থা প্রথম দুবাইতে এই মেশিনটি আবিষ্কার করে। একে গোল্ড এটিএমও বলা হয়।  দুবাই এর একটি শপিং মোলে প্রথম এই মেশিনটি চালু করা হয়। এই মেশিন থেকে সোনার কয়েন, সোনার বিস্কুট এবং বিভিন্ন রকমের গহনাও বের হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো শপিং মোল এই দুবাইয়ে দেখা যায়। 

দুবাইয়ের রাস্তাঘাট খুবই উন্নত। এর জন্য দুবাই এর রাস্তায় আপনি সব সময় দামি অত্যাধুনিক গাড়ি দেখতে পাবেন। যেমন ল্যাম্বরঘিনি,ফেরারি,বিএমডাব্লিউ  ইত্যাদি।  এমনকি দুবাই এর পুলিশ প্রশাসনও এইসব গাড়ি ব্যবহার করেন। পুলিশদের এইসব দামি গাড়ি দেওয়ার কারণ হচ্ছে যাতে তারা সহজে ক্রিমিনালদের ধরতে পারে। যেখানে অন্য দেশে ২/১ তা স্টেশন তৈরি করতে বছরের পর বছর পার হয়ে যায় সেখানে দুবাই মাত্র ১৮ মাসে ৪২  মেট্রো স্টেশন তৈরি করেছে । দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টটি পৃথিবীর তৃতীয় ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট। 

দুবাইকে  বালির শহরও বলা হয়। দুবাই তে প্রচুর পরিমান বালি থাকার কারণে সেখানে  উট চলতে দেখা যায়। সেখানকার মানুষ প্রায়ই উঠ দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু মজার বেপার হলো সেখানে রোবট চালিত উট দেখা যায়।   মাঝে মধ্যে উট যখন দিশাহীন পরে তখন উটকে সঠিক দিশা দেখতে এবং শান্ত করতে এই রোবটিকে ব্যবহার করা হয়। 

বেবসা বাণিজ্যের জন্য দুবাই একটি বিশেষ শহর।  তাই অধিকাংশ মানুষ দুবাইয়ে কাজকর্মের জন্য নিজের দেশ থেকে পারি দেয়। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে দুবাইয়ে মাত্র ২০ শতাংশ জনগণই প্রকৃত পক্ষে দুবাইয়ের বাসিন্দা।  আর বাকি ৮০ শতাংশ জনগণই অন্য দেশের। অদিকাংশ মানুষ মনে করেন যে দুবাই এর অর্থনীতি তেলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে দুবাই এর মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ ইনকাম তেল থেকে আসে।  আর বাকিটা আসে বেবসা বাণিজ্য এবং পর্যটক দের থেকে। 

 দুবাই এর  ধনী বেক্তিরা  বনের পশুদের  পোষ মানতে ভালোবাসেন। সিংহ এবং চিতাবাগ কে  তারা নিজেদের সাথে নিয়ে রাস্তায় ঘোরা ফেরা করেন। সেখানকার ধনী বেক্তিরা উদার মনের হয়ে থাকে যার কারণে প্রকৃত অর্থে যারা গরিব তাদেরকে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়। 
পৃথিবীর সবচেয়ে বিল্ডিং বেশি তৈরি করা হয় দুবাইয়ে। এবং প্রচুর পরিমান তেলের খননও করা হয় সেখানে। তাই ধারণা করা হয় পৃথিবীর ২৫ শতাংশ ক্রেন এই দুবাইয়ে ব্যবহার করা হয়।

দুবাই একটি ইসলামিক দেশ হওয়ায় সেখানে পাবলিক প্লেস এ মদ খাওয়া অপরাধ।  দুবাই একটি শান্তিপূর্ণ দেশ।  সেখানে ক্রাইম এর মাত্রা খুবই কম। 

দুবাইয়ে প্রচুর পাল্ম আইস্ল্যাণ্ড নামক কৃতিম দ্বীপ তৈরি করা হয়েছে। এই আইস্ল্যাণ্ড গুলি তৈরি করতে প্রচুর পরিমান বালি ব্যবহার করা হয়েছে।  প্রত্যেক দেশের নিজস্ব কোনো পোস্টাল কোড রয়েছে। কিন্তু আপনি ইটা জেনে অবাক হবেন যে দুবাইয়ের কোনো পোস্টাল কোড নেই।

সবশেষে, ব্রুজ খলিফা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং হলেও দুবাই খুব তাড়াতাড়ি আরেকটি উঁচু বিল্ডিং বানাতে চলেছে যেটা প্রায় ১০০০ মিটার এর কাছাকাছি এবং এটা ২০২০ এর মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে , এর নাম হলো দ্য টাওয়ার অফ ক্রিক হারবার। 





Post a Comment

0 Comments