কানাডা সম্পর্কে কিছু তথ্য (Unknown Facts about Canada)
বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মধ্যে চোখ রাখলে কানাডা নামটি সব সময় প্রথমেই থাকবে। তবে দেশটির ওপর একসময় ফ্রেঞ্চ এবং ইংরেজদের আধিপত্য থাকায় দেশের মূল বাসিন্দাদের সাথে এই ইংরেজ এবং ফ্রেঞ্চ দের কোন না কোন যোগাযোগ দেখতে পাওয়া যায়। কারন এক সময় বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ ইংরেজ এবং ফ্রান্স থেকে এসে বসবাস করতে শুরু করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশের অধিকাংশ মানুষ ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলতে পারে। মানে আধিকারিক ভাষাগুলিও ইংরেজ এবং ফ্রেঞ্চ। তো চলুন আয়তনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই।
এই দেশটির নামটি এসেছে "Kanata" নামের একটি শব্দ থেকে, এর অর্থ হচ্ছে "village"
2012 সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী কানাডাকে বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত দেশ হিসেবে গণ্য করা হতো। যেখানে বলা হয় দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি শিক্ষিত। সেখানকার অধিকাংশ মানুষই শিক্ষিত। আর এর কৃতিত্ব যায় সরকারের কাছে। কারণ সে দেশের সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করে। যা জিডিপির 5.3 শতাংশের মতো। তাই এই বিশাল শিক্ষিত জনসংখ্যার প্রভাব সাহিত্য চর্চার মতো বিভিন্ন শিল্পকলায় থাকা স্বাভাবিক। তাই 1990 সালের দিকে পৃথিবীর উন্নত সাহিত্য গুলির মধ্যে ক্যানাডা সাহিত্যকে ধরা হতো। কিন্তু উন্নত পড়াশোনার একটা প্রভাব দেশে বিজ্ঞান এবং টেকনোলজির ক্ষেত্রে চোখে পড়ে। তাই আজ পৃথিবীর বিখ্যাত পদার্থবিদ রসায়নবিদ ডাক্তারের নাম আসে তাতে একজন অন্তত ক্যানাদিয়ান থাকবেই আর বিশ্বের সমস্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাতে এই দেশটির নাম শীর্ষ তালিকায় থাকে।
যার ফলস্বরূপ গভীর মহাকাশের খোজ কাজের ক্ষেত্রে তথা মহাকাশে পাঠানো উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট নির্মাণের কানাডার নাম সব সময় থাকে। যার প্রমাণ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন কে ধরা হয়। যেখানে জাপান আমেরিকা এবং রাশিয়ার সাথে কানাডার স্পেস এজেন্সি হিসেবে কর্মরত। আধুনিক জগতের সব থেকে চাহিদার জিনিস 4g ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রেও কানাডা এগিয়ে। কারণ বিশ্বের দ্রুত এবং সহজলভ্য ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবহার কানাডাতে হয়ে থাকে। তাই 37000000 জনসংখ্যার দেশটির আইনি ব্যবস্থা কঠোর। যেমন বাচ্চাদের কাছে বেশী প্রিয় জিনিস হিসেবে পরিচিত কোনো জিনিসে যদি কোন রকম অপরাধমূলক চিত্রলেখা থাকে তবে সেগুলি বেআইনি হিসেবে ধরা হয় এবং কানাডাতে এখনও রাজতন্ত্র দেখা যায়।
যেখানে কুইন এলিজাবেথ 2 দেশের রানী হিসেবে বিবেচিত হন। তবে দেশের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত হাউস অফ কম্মন্স অফ কানাডা অনুযায়ী দেশের সরকারের প্রধান হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিবেচিত হয়। উত্তর আমেরিকার অন্তর্গত যে শুধুমাত্র ক্যানাডার অন্তর্গত যতসংখ্যক হ্রদ রয়েছে তা পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকা মোট সংখ্যক থাকা হ্রদের প্রায় 50 শতাংশের মতো। তার সাথে কানাডার অন্টারিও পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তাজা জলের উপস্থিতি পাওয়া যায় এবং দেশটির আয়তন হিসেবে যদি জানতে চান তাহলে দেখবেন যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা বড় দেশের সাথে কানাডা পৃথিবীর সবথেকে বড় সীমানা ভাগ করে যা 8891 কিলোমিটার দীর্ঘ। শুধু তাই নয় পৃথিবীর দীর্ঘতম উপকূলীয় রেখা কানাডা তে রয়েছে যা দৈর্ঘ্যে 243042 কিলোমিটার কারণ দেশের পূর্বে যেমন আটলান্টিক মহাসাগর আছে তেমনি পশ্চিম দিকে প্রশান্ত মহাসাগর রয়েছে এবং দেশটি বিস্তৃত হয়েছে পূর্ব দিকে যেখানে রয়েছে আর্থিক মহাসাগর তাই বলা বাহুল্য এই দেশের বিরাট অংশে বরফ থাকে। আর দেশের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে।
আর এর জন্য দেশের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে যা ঠান্ডার সময় -15 ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে -40 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই দেশটিকে একটি শীতপ্রধান দেশ বললে ভুল হবে না। এই শীত পড়ার ফলে অনেক জায়গায় এত কঠিন ভাবে বরফ জমে যে তাতে অনায়াসেই আইস হকি খেলা যায়। আর আইস হকি কানাডার একটি জাতীয় খেলা। আর লেক্রোসে নামের একধরনের খেলা দেশের জাতীয় খেলা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু একটা জিনিস আমেরিকাতে অনেক বড় বড় শপিং মল আছে আর আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলোই তাদের মালিক কিন্তু মল অফ আমেরিকার ক্ষেত্রে এটা ঠিক উল্টো। ইউনাইটেড স্টেটসের ব্লুমিংটনে নির্মিত শপিংমলের মালিক কিন্তু ক্যানাডা রিয়েল এস্টেটের মালিক। আর অতীতে আমেরিকা নাকি দুইবার কানাডাকে আক্রমণ করে। আর দুইবার ই বিফল হয়। তাই বলা হয় কানাডার সৈন্যবল আগে থেকেই শক্তিশালী।
সেই হিসেবে দেখলে ক্যানাডাকে একটি ধনী দেশ হিসেবে বলা যেতে পারে। যার বিবরণ দিলে দেখা যাবে বিশ্বের প্রথম সারির বাণিজ্যিক দেশ তথা অর্থনীতির দিক দিয়ে একটি প্রগতিশীল দেশ এই কানাডা এবং দেশের আর্থিক ভীত হিসেবে গণ্য হয় সার্ভিস সেক্টার।
তবে এদেশের খনিজ তেলের ভান্ডার ভেনেজুয়েলার এবং সৌদি আরবের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে সেই পরিমাণ তেলের ভান্ডার কানাডাতে পাওয়া গেছে। এছাড়াও ইউরেনিয়াম এবং সোনার মত আরো কিছু খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে ক্যানাডা বিশ্বের বাণিজ্যিক বাজারে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
ইউরেনিয়াম বিভিন্ন শক্তি উৎপাদন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এর দরকার হয় এবং এ জাতীয় মুদ্রাটি হলো কানাডিয়ান ডলার। এই এতো পরিমান খনিজ পদার্থ সঞ্চয় থাকার ফলে দেশের কয়েকটি জায়গায় চাষাবাদ ভালো হয় না তাই বলা হয় সাসকাচুয়েন নামের এক জায়গা নাকি সেখানকার চাষাবাদের জন্য বিখ্যাত। তবে শুধু এখানেই নয় দেশের অন্যান্য জায়গায় চাষাবাদ প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন রকম শস্যদানা এবং কাঠের দ্রব্য গুলি মূল অর্থের যোগান দেয়। এর মধ্যে কারো যদি বরফে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্ন থাকে তাহলে কানাডা খুব ভালো একটা জায়গা হতে পারে।
তবে অদ্ভুত ভাবে 1960 সালের দিকে বৈজ্ঞানিকেরা কানাডার ওপর একটা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন তাদের মতে পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় গুলির তুলনায় কানাডা তে সবথেকে কম মাধ্যাকর্ষণ বল কাজ করে। কিন্তু এর সঠিক সিদ্ধান্তে প্রমাণটা বৈজ্ঞানিকেরা ভালো দিতে পারে। আমরা সাধারণত গাড়ির নম্বর প্লেট যে ভাবে দেখে অভ্যস্ত কিন্তু কানাডার উত্তর-পশ্চিম ভাগে মেরু ভল্লুকের আকৃতির মতো দেখতে একরকম নম্বর প্লেট দেখা যায় এগুলো সত্যি দারুন দেখতে। আর এই ভল্লুকের ভয়ে তারা গাড়ির দরজা কখনো লক করেনা। কারণ কোনভাবে যদি গাড়িতে ভাল্লুক ঢুকে পড়ে তাতে যেন তারা তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সবকিছুর জন্য কারণ একটাই সেখানে কিন্তু অনেক ভল্লুক আছে।
তো এই ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডা সম্পর্কে কিছু তথ্য ।।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মধ্যে চোখ রাখলে কানাডা নামটি সব সময় প্রথমেই থাকবে। তবে দেশটির ওপর একসময় ফ্রেঞ্চ এবং ইংরেজদের আধিপত্য থাকায় দেশের মূল বাসিন্দাদের সাথে এই ইংরেজ এবং ফ্রেঞ্চ দের কোন না কোন যোগাযোগ দেখতে পাওয়া যায়। কারন এক সময় বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ ইংরেজ এবং ফ্রান্স থেকে এসে বসবাস করতে শুরু করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশের অধিকাংশ মানুষ ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলতে পারে। মানে আধিকারিক ভাষাগুলিও ইংরেজ এবং ফ্রেঞ্চ। তো চলুন আয়তনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই।
এই দেশটির নামটি এসেছে "Kanata" নামের একটি শব্দ থেকে, এর অর্থ হচ্ছে "village"
2012 সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী কানাডাকে বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত দেশ হিসেবে গণ্য করা হতো। যেখানে বলা হয় দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি শিক্ষিত। সেখানকার অধিকাংশ মানুষই শিক্ষিত। আর এর কৃতিত্ব যায় সরকারের কাছে। কারণ সে দেশের সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করে। যা জিডিপির 5.3 শতাংশের মতো। তাই এই বিশাল শিক্ষিত জনসংখ্যার প্রভাব সাহিত্য চর্চার মতো বিভিন্ন শিল্পকলায় থাকা স্বাভাবিক। তাই 1990 সালের দিকে পৃথিবীর উন্নত সাহিত্য গুলির মধ্যে ক্যানাডা সাহিত্যকে ধরা হতো। কিন্তু উন্নত পড়াশোনার একটা প্রভাব দেশে বিজ্ঞান এবং টেকনোলজির ক্ষেত্রে চোখে পড়ে। তাই আজ পৃথিবীর বিখ্যাত পদার্থবিদ রসায়নবিদ ডাক্তারের নাম আসে তাতে একজন অন্তত ক্যানাদিয়ান থাকবেই আর বিশ্বের সমস্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাতে এই দেশটির নাম শীর্ষ তালিকায় থাকে।
যার ফলস্বরূপ গভীর মহাকাশের খোজ কাজের ক্ষেত্রে তথা মহাকাশে পাঠানো উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট নির্মাণের কানাডার নাম সব সময় থাকে। যার প্রমাণ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন কে ধরা হয়। যেখানে জাপান আমেরিকা এবং রাশিয়ার সাথে কানাডার স্পেস এজেন্সি হিসেবে কর্মরত। আধুনিক জগতের সব থেকে চাহিদার জিনিস 4g ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রেও কানাডা এগিয়ে। কারণ বিশ্বের দ্রুত এবং সহজলভ্য ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবহার কানাডাতে হয়ে থাকে। তাই 37000000 জনসংখ্যার দেশটির আইনি ব্যবস্থা কঠোর। যেমন বাচ্চাদের কাছে বেশী প্রিয় জিনিস হিসেবে পরিচিত কোনো জিনিসে যদি কোন রকম অপরাধমূলক চিত্রলেখা থাকে তবে সেগুলি বেআইনি হিসেবে ধরা হয় এবং কানাডাতে এখনও রাজতন্ত্র দেখা যায়।
যেখানে কুইন এলিজাবেথ 2 দেশের রানী হিসেবে বিবেচিত হন। তবে দেশের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত হাউস অফ কম্মন্স অফ কানাডা অনুযায়ী দেশের সরকারের প্রধান হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিবেচিত হয়। উত্তর আমেরিকার অন্তর্গত যে শুধুমাত্র ক্যানাডার অন্তর্গত যতসংখ্যক হ্রদ রয়েছে তা পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকা মোট সংখ্যক থাকা হ্রদের প্রায় 50 শতাংশের মতো। তার সাথে কানাডার অন্টারিও পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তাজা জলের উপস্থিতি পাওয়া যায় এবং দেশটির আয়তন হিসেবে যদি জানতে চান তাহলে দেখবেন যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা বড় দেশের সাথে কানাডা পৃথিবীর সবথেকে বড় সীমানা ভাগ করে যা 8891 কিলোমিটার দীর্ঘ। শুধু তাই নয় পৃথিবীর দীর্ঘতম উপকূলীয় রেখা কানাডা তে রয়েছে যা দৈর্ঘ্যে 243042 কিলোমিটার কারণ দেশের পূর্বে যেমন আটলান্টিক মহাসাগর আছে তেমনি পশ্চিম দিকে প্রশান্ত মহাসাগর রয়েছে এবং দেশটি বিস্তৃত হয়েছে পূর্ব দিকে যেখানে রয়েছে আর্থিক মহাসাগর তাই বলা বাহুল্য এই দেশের বিরাট অংশে বরফ থাকে। আর দেশের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে।
আর এর জন্য দেশের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে যা ঠান্ডার সময় -15 ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে -40 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই দেশটিকে একটি শীতপ্রধান দেশ বললে ভুল হবে না। এই শীত পড়ার ফলে অনেক জায়গায় এত কঠিন ভাবে বরফ জমে যে তাতে অনায়াসেই আইস হকি খেলা যায়। আর আইস হকি কানাডার একটি জাতীয় খেলা। আর লেক্রোসে নামের একধরনের খেলা দেশের জাতীয় খেলা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু একটা জিনিস আমেরিকাতে অনেক বড় বড় শপিং মল আছে আর আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলোই তাদের মালিক কিন্তু মল অফ আমেরিকার ক্ষেত্রে এটা ঠিক উল্টো। ইউনাইটেড স্টেটসের ব্লুমিংটনে নির্মিত শপিংমলের মালিক কিন্তু ক্যানাডা রিয়েল এস্টেটের মালিক। আর অতীতে আমেরিকা নাকি দুইবার কানাডাকে আক্রমণ করে। আর দুইবার ই বিফল হয়। তাই বলা হয় কানাডার সৈন্যবল আগে থেকেই শক্তিশালী।
সেই হিসেবে দেখলে ক্যানাডাকে একটি ধনী দেশ হিসেবে বলা যেতে পারে। যার বিবরণ দিলে দেখা যাবে বিশ্বের প্রথম সারির বাণিজ্যিক দেশ তথা অর্থনীতির দিক দিয়ে একটি প্রগতিশীল দেশ এই কানাডা এবং দেশের আর্থিক ভীত হিসেবে গণ্য হয় সার্ভিস সেক্টার।
তবে এদেশের খনিজ তেলের ভান্ডার ভেনেজুয়েলার এবং সৌদি আরবের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে সেই পরিমাণ তেলের ভান্ডার কানাডাতে পাওয়া গেছে। এছাড়াও ইউরেনিয়াম এবং সোনার মত আরো কিছু খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে ক্যানাডা বিশ্বের বাণিজ্যিক বাজারে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
ইউরেনিয়াম বিভিন্ন শক্তি উৎপাদন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এর দরকার হয় এবং এ জাতীয় মুদ্রাটি হলো কানাডিয়ান ডলার। এই এতো পরিমান খনিজ পদার্থ সঞ্চয় থাকার ফলে দেশের কয়েকটি জায়গায় চাষাবাদ ভালো হয় না তাই বলা হয় সাসকাচুয়েন নামের এক জায়গা নাকি সেখানকার চাষাবাদের জন্য বিখ্যাত। তবে শুধু এখানেই নয় দেশের অন্যান্য জায়গায় চাষাবাদ প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন রকম শস্যদানা এবং কাঠের দ্রব্য গুলি মূল অর্থের যোগান দেয়। এর মধ্যে কারো যদি বরফে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্ন থাকে তাহলে কানাডা খুব ভালো একটা জায়গা হতে পারে।
তবে অদ্ভুত ভাবে 1960 সালের দিকে বৈজ্ঞানিকেরা কানাডার ওপর একটা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন তাদের মতে পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় গুলির তুলনায় কানাডা তে সবথেকে কম মাধ্যাকর্ষণ বল কাজ করে। কিন্তু এর সঠিক সিদ্ধান্তে প্রমাণটা বৈজ্ঞানিকেরা ভালো দিতে পারে। আমরা সাধারণত গাড়ির নম্বর প্লেট যে ভাবে দেখে অভ্যস্ত কিন্তু কানাডার উত্তর-পশ্চিম ভাগে মেরু ভল্লুকের আকৃতির মতো দেখতে একরকম নম্বর প্লেট দেখা যায় এগুলো সত্যি দারুন দেখতে। আর এই ভল্লুকের ভয়ে তারা গাড়ির দরজা কখনো লক করেনা। কারণ কোনভাবে যদি গাড়িতে ভাল্লুক ঢুকে পড়ে তাতে যেন তারা তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সবকিছুর জন্য কারণ একটাই সেখানে কিন্তু অনেক ভল্লুক আছে।
তো এই ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডা সম্পর্কে কিছু তথ্য ।।
0 Comments